ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য কি ?
ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং দুটিই এমন কাজের ধরন , যেখানে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যের কাজ করে দেয়। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।

ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং দুটিই এমন কাজের ধরন , যেখানে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যের কাজ করে দেয়। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিং হল একজন ব্যক্তির স্বাধীনভাবে কাজ করার প্রক্রিয়া। ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত তাদের নিজস্ব দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে থাকেন। ফ্রিল্যান্সিং কাজের মধ্যে রয়েছে ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লেখালিখি, অনুবাদ, ডেটা এন্ট্রি ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস বা ওয়েবসাইটে কাজ খুঁজে পান। এই মার্কেটপ্লেসগুলোতে ক্লায়েন্টরা তাদের কাজের জন্য ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজেন। ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বিড করেন। ক্লায়েন্টরা তাদের প্রয়োজনীয় কাজের জন্য যে ফ্রিল্যান্সারের বিড তাদের পছন্দ হয় তাকে কাজ দিয়ে থাকেন।
আউটসোর্সিং
আউটসোর্সিং হল একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের প্রয়োজনীয় কাজ অন্য প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তিকে দিয়ে করানোর প্রক্রিয়া। আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে একটি প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা তাদের নিজস্ব কর্মীদের দ্বারা করানো কাজের খরচ কমাতে পারে।
আউটসোর্সিংয়ের কাজের মধ্যে রয়েছে উৎপাদন, সেবা, তথ্যপ্রযুক্তি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, লেখালিখি, অনুবাদ ইত্যাদি।
ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মধ্যে পার্থক্য ?
ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল, ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে কাজের জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করতে হয় ফ্রিল্যান্সারকে, কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে কাজের জন্য ক্লায়েন্ট খুঁজে বের করতে হয় প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাকে।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা তাদের কাজের জন্য নিজেদের সময় এবং স্থান নির্ধারণ করতে পারে, কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নির্ধারিত সময় এবং স্থানে কাজ করতে হয় ফ্রিল্যান্সারদের।
ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা সাধারণত ঘরে বসেই কাজ করে থাকেন, কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের জন্য প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার অফিসে যেতে হতে হয় ।
উদাহরণ
ফ্রিল্যান্সিংয়ের একটি উদাহরণ হল, একজন লেখক অনলাইনে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজের জন্য বিড করেন। একজন ক্লায়েন্ট তার প্রয়োজনীয় একটি বই লিখানোর জন্য এই লেখকের বিড পছন্দ করেন। লেখক ক্লায়েন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী বইটি লিখে ক্লায়েন্টকে সরবরাহ করেন।
আউটসোর্সিংয়ের একটি উদাহরণ হল, একটি কোম্পানি তাদের ওয়েবসাইটের জন্য একটি নতুন ডিজাইন তৈরি করার জন্য একটি গ্রাফিক্স ডিজাইনারের দরকার হয়। কোম্পানিটি একটি গ্রাফিক্স ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে এবং তাদের ওয়েবসাইটের জন্য একটি নতুন ডিজাইন তৈরি করার জন্য বলে। গ্রাফিক্স ডিজাইনিং প্রতিষ্ঠানটি কোম্পানির প্রয়োজনীয় ডিজাইন তৈরি করে কোম্পানিকে সরবরাহ করে।
শেষ কথা
ফ্রিল্যান্সিং ও আউটসোর্সিং দুটিই এমন কাজের ধরন যেখানে একজন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান অন্যের কাজ করে দেয়। কিন্তু এই দুইয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সাররা স্বাধীনভাবে কাজ করে থাকেন, কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করতে হয় ফ্রিল্যান্সারদের।